Loading

তিলোত্তমা কলকাতার একমাত্র ‘লাইফলাইন’ মেট্রো। কিন্তু, সেই মেট্রোই এখন ভাঁজ ফেলেছে যাত্রীদের কপালে। প্রতি দিন প্রভূত সমস্যা নিয়েই যাত্রীরা সওয়ার হচ্ছেন মেট্রোয়। সফরকালের গোটাটাই কাটাচ্ছেন আতঙ্কে! কখন কী ঘটে যায়!

নতুন চারটি রেক প্রায় দু’বছর ধরে নোয়াপাড়া কারশেডে পড়ে রয়েছে।
২৪ অক্টোবর, ১৯৮৪। কলকাতা শহরে প্রথম মাটির তলা দিয়ে ছুটল মেট্রো। প্রথম দিনের সেই আনন্দ মুহূর্তে মেট্রো চড়েছিলেন অনেকেই। ছিলেন শমিত ভঞ্জ, আল্পনা গোস্বামী, সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ৩৫ বছরের দোড়গোড়ায় এসে সেই মেট্রো পরিষেবাই এখন দুঃস্বপ্নের হয়ে উঠেছে।

২০ অক্টোবর, ২০১০: সেন্ট্রাল এবং গিরীশ পার্ক স্টেশনের মধ্যে লাইনে ফাটল। বেলাইন হয়ে গেল মেট্রোর দু’টি কামরা। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, যাত্রীদের সুড়ঙ্গ মধ্যে নামিয়ে উদ্ধার করা হয়।

৩০ এপ্রিল, ২০১৮: মেট্রোর মধ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার ‘অভিযোগে’ এক যুগলকে বেধড়ক মারধর করেন এক দল যাত্রী। দমদম স্টেশনের ওই ঘটনায় পুলিশকে যে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছিল মেট্রোর তরফে, তা ছিল অনেক দূরের একটি সিসি ক্যামেরা থেকে ধরা। সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসে, মেট্রোর বেশির ভাগ সিসি ক্যামেরা কাজ করে না।

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮: রবীন্দ্র সদন স্টেশন থেকে ময়দানে ঢোকার আগেই মেট্রোর সামনের দিকের একটি কামরার তলায় আগুন লাগে। যাত্রীরা প্রায় আধঘণ্টা ধোঁয়াভরা কামরায় আটকে থাকতে বাধ্য হন। পরে একদল যাত্রী জানলার কাচ ভেঙে বাইরে লাভ দেন। অনেক পরে সকল যাত্রীকে সুড়ঙ্গপথে নামিয়ে উদ্ধার করা হয়। অসুস্থ হয়ে প্রচুর যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

প্রতি দিন মেট্রোর গেরোয় ভুগছেন হাজার হাজার যাত্রী। আতঙ্ক কাটার বদলে প্রতি মুহূর্তেই তা বাড়ছে। তাতে অনুঘটকের ভূমিকা নিচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা। প্রশ্ন উঠছে, আর কত দিন এ ভাবে চলবে শহরের একমাত্র ‘লাইফলাইন’?

Credits:

আনন্দবাজার আর্কাইভ, পিটিআই, এএফপি এবং নিজস্ব চিত্র।

Report Abuse

If you feel that this video content violates the Adobe Terms of Use, you may report this content by filling out this quick form.

To report a copyright violation, please follow the DMCA section in the Terms of Use.